হাদীস শরীফে এসেছে, বদকার মৃত্যুর সময় আল্লাহপাক মালাকুল মউতকে বলেন আমার দুশমনের নিকট যাও এবং তার রূহ বের করে আন। আমি দুনিয়াতে তাকে সুখের যাবতীয় সামগ্রী দান করেছি কিন্তু তবুও সে আমার নাফরমানি হতে ফিরে নাই। অদ্য তাকে তার শাস্তি দান করব। মালাকুল মাউত ভয়ানক মুর্তিতে বার চোখ বিশিষ্ট ছুরতে জাহান্নামের অগ্নির তৈরি লোহার দন্দ হাতে করে উপস্থিত হবে। তার সাথে পাঁচশত ফেরেশতা থাকবে। প্রত্যেকের তামার টুকরা অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ও প্রজ্জলিত অগ্নির কোড়া থাকবে। মালাকুল মাউত এসে তার উপর কোড়া মারতে থাকে যার কাঁটা সমূহ মুর্দার প্রতি শিরায় শিরায় প্রবেশ করে যায়। অন্যান্য ফেরেশতাগণ তার মুখে ও নিতম্বে কোড়া মারতে থাকে যাদ্বারা মুর্দা বেহুঁশ হয়ে যায়। তারা
মুর্দা রুহকে আঙ্গুলের মাথা হতে টেনে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত এনে বন্ধ করে দেয় ও আঘাত করতে থাকে। তারপর গোড়ালী হতে হাঁটু পর্যন্ত ও হাঁটু হতে জায়গায় জায়গায় বন্ধ করে দেয়।
রূহ ও শরীরকে অধিক কষ্ট দেওয়ার জন্য এরূপ করে থাকে। অতঃপর ফেরেশতারা সে তামার টুকরা এবং জাহান্নামের অঙ্গারগুলো তার থুতনীর নীচে রেখে দেয় ও মালাকুল মাউত বলেন হে অভিশপ্ত রুহ বের হও এবং জাহান্নামের দিকে চল। সূরা ওয়াকেয়ার মধ্যে বর্ণিত আছে তারা আগুন ও উত্তপ্ত পানি ও কালো ধোঁয়ার মধ্যে হবে। না শীতল হবে না আরামদায়ক হবে। অতঃপর তার রূহ যখন শরীর হতে বের হবে তখন সেই রুহ শরীর কে বলবে ” আল্লাহ পাক তোমাকে শাস্তি দান করুক। তুমি অন্যায় কাজে আমাকে নিয়ে যেতে ও এবাদতে অলসতা করতে, তুমি নিজেও ধ্বংস হয়েছ আমাকেও ধ্বংস করেছ।” রূহ শরীর কে এই বলে সম্বোধন করবে। আর জমিনের এ অংশ যেখানে সে গুনাহের কাজ করত সেই সব তার উপর লানত করতে থাকেবে। এদিকে শয়তানের লস্করসমূহ দৌড়িয়ে এসে শয়তান কে খোশ খবরী শুনায় যে এক ব্যক্তিকে জাহান্নাম পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছি।
যখন আমাদের শরীরের মৃত্যু ঘটবে তখন শরীর ও আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলবে।
কেমন হবে সেই নিঃসঙ্গ দিন টি? ভাবতেই কেমন গা শিউরে উঠে।
হে রাব্বুল আলামীন আমরা জানিনা আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে ঐ অন্ধকার কবরে। রাব্বুল আলামীন আমাদের ইমানের সাথে মৃত্যু বরণ করার তৌফিক দাও।
আমিন
👍👍
👍👍👍
👍