করোনাকালে থমকে গেছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। গত মার্চ মাস থেকে এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যেখানে দেশের অন্য সকল প্রতিষ্ঠানগুলোতে কিছুটা পরিবর্তন এনে তাদের কার্যক্রম সচল রাখা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে এখনও খোলা হচ্ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
করোনাকালে এইচএসএসি ২০ ব্যাচ সহ বাতিল করা হয়েছে বেশ কিছু পাবলিক পরীক্ষা। এখন প্রশ্ন কত দিন থাকবে এই অবস্থা?
তাও বলা যাচ্ছে না, ইতিমধ্যে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসাইনমেন্ট সম্পূর্ণ হয়েছে। দেওয়া হয়েছে পরবর্তী শ্রেণিতে প্রোমোশন। নতুন বইও পৌঁছে গেছে শিক্ষার্থীদের কাছে।
তবুও যেন কাটছে না শিক্ষা ব্যবস্থার অনিশ্চয়তা। করনোকালেই শুরু হয়েছে অনলাইন ক্লাশ। তবে কতটুকু এই সুবিধা সাধরন শিক্ষার্থী পেয়েছে তাও নিয়ে আছে দীর্ঘশ্বাস।
তবে যদি করোনার প্রকোপ আরও কিছুদিন থেকেই যায় বা করোনা পরবর্তী শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে এখনই ভাবার সময়।
করোনা অনেক সিস্টেমরই পরিবর্তন এনছে। শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনটাও এখন জরুরি। গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন না করলে এরকম ক্ষতি কখনোই পুষিয়ে নেওয়া যাবে না। করোনাকালে শতভাগ অনলাইন ক্লাশ নিশ্চিত করতে হবে। দেশের প্রতিটা প্রান্তের প্রতিটা শিক্ষার্থী যাতে এই সুবিধা পায় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
অর্থনৈতিক দিকেও নজর দিতে হবে কেননা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সচল অবস্থায় আসলেও দেখা যাবে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ছেলেমেয়েরা আর বিদ্যালয়ে ফিরতে পারছে না। কেননা শিক্ষাবিদদের ধারণা করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দায় দেশের ২০% শিক্ষার্থী শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়বে।
মন দিতে হবে প্রান্তীক জনগোষ্ঠীর অর্থনীতির দিকে। এদেশের অনেক শিশু দরিদ্রার কারণে শিক্ষা থেকে দূরে থাকে। কেউবা ঝরে যায় অকালে। করোনা পরবর্তী শিক্ষাকে সচল করা হবে বড় একটা চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিটা পরিবারকে যৌথ ভাবে কাজ করতে হবে। সর্বস্তরে অনলাইন শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। উচ্চচতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে আবাসিক হলগুলো খুলে দিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে না হলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সেশনজট মহামারি আকার ধারণ করবে।
করোনা পরবর্তী সময়েও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্যথা থেকে বের হয়ে সব পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারে এবং প্রান্তীক শ্রেণীর মানুষও যাতে শিক্ষা পায় এটা নিশ্চিত করতে হবে। এটা এখন সময়ের দাবি।
অনিক দেওয়ান
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, টাংগাইল জেলা কমিটি