উপমহাদেশের প্রখ্যাত কমিউনিস্ট বিপ্লবী, রাজনীতিবিদ, কৃষক-শ্রমিক -মেহনতি মানুষের নেতা কমরেড অমল সেন।
বর্তমান নড়াইল জেলার সদর উপজেলার অন্তর্গত শেখহাটি ইউনিয়নের আফরা গ্রামের জমিদার বাড়িতে সেন পরিবারের ১৯১৪ সালে অমল সেনের জন্ম। মাতা স্বর্গীয় চন্দ্রমুখী দেবী, পিতা স্বর্গীয় জিতেন সেন।
কমরেড অমল সেন ছিলেন নড়াইলের তে-ভাগা আন্দোলনের এক মহানায়ক। তেভাগার এই আন্দোলনে তার অংশের কৃষক সংগ্রামীরা জমিদার ও ব্রিটিশদের কাছ থেকে ছিনিয়ে এনেছিলেন বিজয়। যা ব্রিটিশ আমলের বিরুদ্ধে পাল্টা রাষ্ট্রভিত করার পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছেছিল।
কমরেড অমল সেন এর রাজনীতিকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়। একটা ব্রিটিশ ভারত সময়কার, একটা পাকিস্তান সময়কার আর অন্যটা স্বাধীন বাংলাদেশ সময়কার।
ব্রিটিশ আমলে কৈশোরে অমল সেন যুক্ত হয়েছিলেন অগ্নিযুগের বাংলার যুব বিদ্রোহী সংগঠন অনুশীলনে। আর সেখান থেকেই তার উত্তরণ ঘটিয়েছিল কমিউনিস্ট পার্টিতে। পাকিস্তান আমলে শত জেল জুলুমের পরেও কখনো রাজনীতি থেকে সরে আসেননি। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দাঁড়াননি কেবল, ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক। যুদ্ধের সময় গড়ে তুলেছিলেন বামপন্থী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে “জাতীয় মুক্তিসংগ্রাম সমন্বয় কমিটি”। ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের মেহনতী মানুষের অধিকার আদায়ের রাজনৈতিক সংগঠন “বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি”র সভাপতি।
মহান এই বিপ্লবীর ১৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৩ সালের ১৭ ই জানুয়ারি কমরেড অমল সেন চলে যান না ফেরার দেশে। তিনি না থাকলেও রয়ে গেছে তার বিপ্লবী আদর্শ। মেহনতী মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের মধ্যে তিনি বেঁচে থাকবেন চিরকাল।
👍👍👍👍
👍👍
বিপ্লবি শ্রদ্ধা
👍👍👍